Tuesday, November 19, 2019

পুরুষের যে ৮টি কাজ মেয়েদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়!



কারো চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠার জন্য কী করতে হয়? অনেক বেশি সাজগোজ বা ফিটফাট হয়ে থাকা নাকি খুব ভালো আচার আচরণ? হ্যাঁ, অবশ্যই ভালো আচার আচরণ মানুষের মনে অনেক প্রভাব ফেলে কিন্তু তারপরও এতো বড় বড় কথা নয় ছোট্ট কিছু কাজই একজন মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে।
কারণ ছেলেরা অনেকেই মনে করেন মেয়েদের মন পাওয়ার জন্য এবং মেয়েদের চোখে আকর্ষণীয় হয়ে উঠার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। আসলে কিন্তু বিষয়টি তেমন নয়। বরং ছেলেদের ছোট্ট কিছু কাজই মেয়েদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয় উঠে।

(১) মেয়েদের কাছে সেই সকল পুরুষ অনেক বেশি আকর্ষণীয় যারা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন। মেয়েরা এতে অনেক বেশি ভরসা এবং আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান। অনেকের কাছে এই বিষয়টিই অনেক বেশি রোম্যান্টিক।

(২) ছোটো ছোটো ভদ্রতামূলক কাজ, যেমন কোথাও গেলে দরজা খুলে ধরা বা রেস্টুরেন্টে গেলে চেয়ার টেনে বসতে দেয়া, রাস্তা পার করে দেয়ার সময় হাত ধরা এই সকল ছোট্ট কাজগুলো মেয়েদের অনেক বেশি আকর্ষণ করে।

(৩) খুব অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে মেয়েরা হাফ হাতা বা ফুল হাতা শার্ট পড়া ছেলেদের চাইতে ফুলহাতা শার্টের হাতা ফোল্ড করে কুনুই পর্যন্ত গুটিয়ে রাখা ছেলেদের প্রতি অনেক বেশিই আকর্ষণ বোধ করেন।

(৪) সবসময় প্রেমিকা বা স্ত্রীর খোঁজ খবর নেয়া পুরুষকে নারীদের অনেক বেশি পছন্দ করতে দেখা যায়। এবং যিনি সব সন্দেহ বাদ দিয়ে প্রথমে স্ত্রী বা প্রেমিকার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় এনে কাজ করেন তারা নারীদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়।

(৫) যেসব পুরুষেরা শিশুদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন এবং শিশুরাও তাদের অনেক পছন্দ করেন তারা নারীদের চোখে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।

(৬) বিষয়টি ছেলেদের পছন্দ না হলেও এটি সত্যি যে, নারীরা সেই সকল পুরুষদের অনেক বেশি পছন্দ করেন যখন নারীটি কোনো কারণে রেগে গেলে বা অভিমান করলে যারা ক্ষেপে যান না। বরং নারীর মুড ঠিক করার জন্য কাজ করেন।

(৭) পোশাক আশাক এবং নিজের লুকের দিকে ভালো নজর এমন পুরুষই নারীর অনেক পছন্দের। পাগলাটে ধরণের মানুষের সাথে সময় কাটানো ভালো লাগলেও জীবন কাটানো পছন্দ নয় নারীদের।

(৮) খুব অস্থিরতার সময় মধুর একটু নির্ভরতার হাসি দিতে পারা পুরুষটি নারীদের কাছে সব সময়েই অনেক বেশি আকর্ষণীয়। যার হাসি দেখলে কিছুক্ষণের জন্যও অস্থিরতা ভুলে থাকা যায়।

নান্দনিকতার বিমুগ্ধতায় | Art of Life

Friday, November 1, 2019

সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি!


প্রিয় সন্তান,
আমি তোমাকে ৩টি কারণে এই চিঠিটি লিখছি:
→ ১. জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
→ ২. আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
→ ৩. যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা— এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

♦ জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা করো:
১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা। কারণ, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো— তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই “অপরিহার্য” নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে – বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা। 

৩। জীবন সংক্ষিপ্ত। আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। 

৪। ভালোবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।

৫। অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা- এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

৬। আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। 

৭। তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। 

৮। আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না। 

৯। তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি …মূল্যায়ন করি। 

ভালোবাসাসহ,
তোমার বাবা।

বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী। তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুণ, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য।
(সংগৃহীত)

Note: তোমার জানা আরও এরূপ লাইফ বিষয়ক লেখা পাঠাও Life Magazine এর ফেসবুক পেজে। আমরা প্রকাশ করবো।

Life Magazine এর ফেসবুক পেজ:
facebook.com/lifemagazinebd

ধন্যবাদ,
মেহেদী হাসান
সম্পাদক, লাইফ ম্যাগাজিন।